আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি হোস্টিং এর প্রধান কাজ ওয়েবসাইটের ডাটা এবং কনফিগারেশন সার্ভারে জমা রাখা। একটি সার্ভারকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত রাখা এবং সিকিউর ভাবে ডাটা আদান-প্রদান ও মডিফাই করার প্রসেস মেইন্টেইন করা।
একটি ওয়েবসাইট আমাদের সামনে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য আমাদের চোখের আড়ালে অনেক গুলো কাজ করতে হয়। যে কাজ গুলো করে থাকে প্রথমে ডোমেইন এবং তারপর হোস্টিং। ডোমেইনের থেকে হোস্টিং এর কাজ এবং দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ ডোমেইন এর মাধ্যমে হোস্টিং এর কাছে যে ডাটা চাওয়া হয় তা খুঁজে বের করা থেকে প্রসেস করা পর্যন্ত সব কাজ হোস্টিং এর করতে হয়।
আপনি দেখবেন হোস্টিং কোম্পানি গুলো আপনাকে বিভিন্ন প্যাকেজ অফার করে। এই সকল প্যাকেজের মধ্যে অনেক বিষয় উল্লেখ করা থাকে যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যান্ডউইথ, স্পেস, এফটিপি, ডাটাবেজ, ডোমেইন এবং সাব-ডোমেইন ইত্যাদি। এসব বিষয়ের আলাদা আলাদা গুরুত্ব আছে যা আমাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে এবং পরে কাজে লাগবে।
তো, একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ব্রাউজারে যখন একটি ওয়েব অ্যাড্রেস প্রবেশ করানো হয় তখন নীচের বিষয়গুলো ঘটেঃ-
- ডোমেইন নেম আইপি তে কনভার্ট হয়।
- সেই আইপির উপর নির্ভর করে DNS সার্ভারে হোস্টিং সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সার্ভার লোকেশন বের করা হয়।
- সার্ভার লোকেশন পাওয়া গেলে উক্ত লোকেশনে ওয়েবসাইটের ফাইল চেয়ে রিকোয়েস্ট করা হয়।
- রিকোয়েস্ট পরিচালিত হয় http/https সিকিউরিটি প্রোটকল ব্যবহার করে।
- তখন উক্ত হোস্টিং ম্যাকানিজম পরিচালিত করে তার অন্তর্ভুক্ত সার্ভার গুলোয় রিকোয়েস্ট অনুযায়ী ওয়েবসাইটের ফাইল খুঁজে বের করে।
- পরে সেই ফাইল ব্রাউজারে পাঠায়।
- ব্রাউজার সেই ফাইল DOM এর মাধ্যমে রেন্ডার করে এবং ওয়েবসাইট যে স্টাইলে তৈরি সেই অনুযায়ী প্রদর্শিত করে।
একটি ওয়েবসাইট হতে পারে আমাদের ক্যারিয়ারের মূল টার্নিং পয়েন্ট। কারণ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজনেস করে বা সার্ভিস বিক্রি করে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতি করতে পারি। সাথে সাথে বিজনেসের প্রসার ঘটিয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করতে পারি। আশা করি, এই লেখা পরে আপনি ডোমেইন হোস্টিং এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন।